হার্ট অ্যাটাকের পর জীবনে অনেক পরিবর্তন হতে পারে। এটা হার্ট অ্যাটাকের তীব্রতা, চিকিৎসার পদ্ধতি এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। এখানে কিছু সাধারণ বিষয় উল্লেখ করা হলো, যা মনে রাখা দরকার:
১. সুস্থতার পর্যায়:
চিকিৎসার প্রথম ধাপে আপনাকে বিশ্রাম নিতে হতে পারে এবং চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে শারীরিক শক্তি বাড়াতে হতে পারে। এই সময়ে ওষুধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য হৃদরোগের উন্নতি করতে হতে পারে, যাতে আপনি হার্টের যত্ন নিতে শিখতে পারেন।
২. জীবনযাত্রার পরিবর্তন:
হার্ট অ্যাটাকের পর, চিকিৎসকেরা সাধারণত জীবনযাত্রায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন। এটি সাধারণত হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া (কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম যুক্ত খাবার), নিয়মিত ব্যায়াম করা (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী), ধূমপান ছেড়ে দেওয়া এবং মানসিক চাপ কমানো হয়ে থাকে।
৩. চিকিৎসা:
হার্টের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, নিয়মিত রক্ত তরল করার ওষুধ, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ, এবং রক্তে সুগার কমানোর ওষুধ খেতে হবে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলে ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ও অন্য জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
৪. পর্যবেক্ষণ এবং নজরদারি:
নিয়মিত হার্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন, কারণ, আপনার হৃদপিণ্ডের অবস্থা কেমন আছে, প্রয়োজনে ওষুধ পরিবর্তন করা এবং হৃদপিণ্ডের অবস্থা যাচাই করতে পরামর্শ করা প্রয়োজন.
৫. মানসিক প্রভাব:
হার্ট অ্যাটাকের পর মানসিক প্রভাব পড়তে পারে, যেমন উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, বা আবার অ্যাটাক হওয়ার ভয়।পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের সমর্থন এবং পরামর্শ খুবই সহায়ক হতে পারে।
৬. প্রতিদিনের কাজকর্মে ফিরে আসা:
অনেক সময়, ভালো হয়ে ওঠার পর বা চিকিৎসকের অনুমতি পাওয়ার পর, মানুষ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারে, যেমন অফিসে কাজ, শখ এবং ব্যায়াম।
৭. প্রতিরোধ:
ভবিষ্যতে হার্টের সমস্যা এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তন, নিয়মিত ওষুধ খাওয়া, শারীরিক পরিবর্তন বা লক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি।
৮. সমর্থন ব্যবস্থা:
একটি ভালো সমর্থন ব্যবস্থা সুস্থ হতে সাহায্য করে। এতে মানসিক সহায়তার পাশাপাশি, প্রয়োজনে দৈনন্দিন কাজেও সহায়তা পাওয়া যায়।
এটা মনে রাখা জরুরি যে, হার্ট অ্যাটাকের পর প্রতিটি মানুষের অভিজ্ঞতা এবং সুস্থ হওয়ার পথ আলাদা হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী হার্টের সমস্যা মোকাবিলা করতে এবং ভালো জীবনযাপন করতে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে ভালোভাবে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।